ছবিঃ সংগ্রহিত
এর কারুকাজ আর গঠনপ্রণালী দেখে সহজেই অনুমান করা যায় এটি বাংলায় মোগল শাসনামলের স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন। ১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খানের সেনাবাহিনী আরাকান মগদের কবল থেকে চট্টগ্রামকে মুক্ত করলে এখানে মোগল শাসন কায়েম হয়। তখন এই অঞ্চলে অনেকগুলো মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে সে সময়কার হামজা খানের মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, অলি খাঁ জামে মসজিদ অন্যতম।
ছবিঃ সত্তরের দশকে মসজিদের মিনারে উঠে আজান দিচ্ছেন একজন মুয়াজ্জিন।
বৃটিশ শাসনামলে ১৯৪৭ সালে মোঘল স্থাপত্য ঘরনায় মসজিদটির সংস্কার কাজ শুরু হয় এবং তা সম্পন্ন হয় ১৯৫২ সালে। সংস্কার কাজের জন্য লাখনৌ থেকে আনা হয় মোগল ঘরানার কারিগর।
এই সংস্কার কাজে ব্যয় হয়েছিল তখনকার সময়ের প্রায় চার লক্ষ টাকা। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মসজিদ নির্মাণের জন্য নানান উপকরণ সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই মসজিদে সর্বমোট ১৫টি গম্বুজ রয়েছে। জনশ্রুতি আছে মসজিদের বড় গম্বুজটি নির্মাণ করতে ১০ টন পিতল লেগেছিল।
মাস্টার আব্দুল হামিদ এই সংস্কার কাজ করেছিলেন। পরবর্তীতে তার নামানুসারেই এটিকে হামিদিয়া তাজ মসজিদ নাম করন করা হয়।
জাপানের এশিয়া ট্রাভেল ট্যুর ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে এই মসজিদের ছবি ছাপানো হয়েছে। পর্যটন কর্পোরেশনের বিভিন্ন প্রকাশনায়ও এর ছবি বার বার ব্যবহৃত হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে আগত বিদেশী পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ এই মসজিদ।
0 Comments