চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে


সময়টা দুর্ভিক্ষের, সময়টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। এই সময়ে প্রায় পুরো প্রদেশে দুর্ভিক্ষ ও এর থেকে সৃষ্ট মহামারীতে প্রায় ৩৫ থেকে ৩৮ লক্ষ লোক মরেছিলো খাদ্যাভাবে। এতোগুলা লোককে বাঁচানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করেনি বৃটিশরা। চাল ভর্তি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসার জন্য ইংল্যান্ড ছেড়ে ছিলো, কিন্তু তার আগেই জাপানিরা মায়ানমার (বার্মা) দখল করে নিলে ব্রিটিশরা জাহাজটাকে ফেরত নিয়ে যায়।

কারন জাপানির যেভাবে অগ্রসর হচ্ছিলো তাতে এই এলাকাটাও হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে ছিলো ব্রিটিশরা। আর এই এলাকা হাতছাড়া হয়ে গেলে তার অধিবাসীদের জন্য চাল প্রেরণ বা খাদ্য যোগানের কোনো মানে ছিলো না তাদের কাছে। মূলত সাব-কন্টিনেন্টের লোকদের তারা মানুষ বলেই মনে করতো না।

এই ছবিগুলো চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯৪৪ মে-১৯৪৫ সালের জুনের কোন এক সময় তোলা হয়েছিলো। ছবিগুলো যুক্তরাজ্যের ইম্পেরিয়াল ওয়ার মিউজিয়ামে সংরক্ষিত করা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটা চট্টগ্রাম এয়ারফিল্ড নামে পরিচিত ছিল।

ব্রিটিশরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলেও চট্টগ্রাম দখলে রাখতে তিনটি বিমানবন্দর বানিয়েছিলো। এগুলোর একটি হলো চকরিয়া, একটি হাটহাজারী থানার আলমনগরে এবং অন্যটি পতেঙ্গায়। এই সময়ে অর্থের সন্ধানে প্রচুর স্থানীয় লোক এই বিমানবন্দর গুলোতে কাজ করতো।

পতেঙ্গায় চট্টগ্রাম বিমান বন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু করলে ওই সময় চার/পাঁচশো শ্রমিক জাপানীদের বোমা বর্ষণে মারা যায়। তাদেরকে গাদাগাদি করে সমাধিস্থ করা হয়েছিলো নগরীর পাঁচলাইশ থানার সামনে।

Post a Comment

0 Comments