বখতিয়ার মাহি আছোয়ার জনশ্রুতি কিংবা কিংবদন্তী....

বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি খ্যাত চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ে বহু পীর-আউলিয়ার আগমন ঘটেছে। তাদের নিয়ে অনেক স্মৃতিকথা কিংবা লোকগল্প মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত রয়েছে এখনো। পূর্বাঞ্চল এবার ধারাবাহিকভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরবে এই পুণ্যভূমির ইতিহাস-উজ্জ্বল ব্যক্তিদের গল্পগুলো। যে বার জন আউলিয়া চট্টগ্রামে এসেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম একজন হিসেবে ধরা হয় বখতিয়ার মাহি আছোয়ার (রঃ)'কে। কারো মতে মাছের পিঠে করে আবার কারো মতে মৎস্য আকৃতির নৌযানে চড়ে তিনি এসেছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বোয়ালখালী উপজেলায়। তার পরনে ছিলো 'সিংহচর্ম'। তিনি নদী থেকে প্রথম যে দ্বীপটিতে তার চরণখানি রাখেন পরবর্তীতে সেটি "চরণদ্বীপ" গ্রাম নামে পরিচিত হয়। কর্দমাক্ত এই দ্বীপ'টিতে নেমে কিছুদূর হেঁটেই তিনি তার পায়ের পরিহিত খরম(কাঠের জুতা) খুলে ছুড়ে মারেন। এই খরম যে জায়গায় গিয়ে পড়ে সে জায়গাটির নাম খরনদ্বীপ হিসেবে পরিচিতি পাই। জনশ্রুতি আছে তিনি রুই মাছের পিঠে করে চট্টগ্রামে এসেছিলেন, সে রুই মাছটি গিয়ে ডিম দেয় হালদা নদীতে। পরবর্তীতে মিঠা পানির মাছের প্রজননক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হয়ে উঠে এ নদী'টি। চট্টগ্রাম এসে তার সাথে দেখা হয় হাজী খলিল পীর, বদর শাহ ও কদল খান গাজীর সাথে। তাদের সাথে তিনিও নিয়োজিত হন ইসলাম প্রচারে। পরে তিনি আবারও আরব দেশে ফিরে যান। এর আগে হযরত বখতিয়ার মাহি আছোয়ার চট্টগ্রামের এক ব্রাহ্মণকন্যা'কে বিয়ে করেন। এই ব্রাহ্মণ পত্নীর ঘরেই জন্ম হয় হাতিম নামের এক পুত্র সন্তানের। তারই পরবর্তী বংশধর হলেন চট্টগ্রামের কবি মোহাম্মদ খান।

Post a Comment

0 Comments